মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম
মধু অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। মধুতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন যা
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করে।
মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আবার এর অপকারিতাও রয়েছে যদি আপনি মধু সঠিক নিয়মে খেতে পারেন। তাহলে এই মধুই আপনাকে অনেক সমস্যার সমাধান এনে দেবে।
সুছিপত্রঃ মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম
- মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম
- মধু কিভাবে খাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্থ হচ্ছে
- মধু কিভাবে খাবেন কিভাবে খেলে মধু খাওয়ার গুনাগুন পাবেন
- মধু খেলে কি কি ক্ষতি হয়
- মধু কখন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন
- মধু খেলে কি কি উপকার হয়
- খাঁটি মধু চেনার উপায়
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং সঠিক নিয়ম
মধু খাওয়ার উপকারিতা অনেক মধুতে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান তা স্বীকার করতে বাধ্য। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হচ্ছে মধু। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরিতে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে।
এই মধু খাওয়া সুন্নত,মধুর গুণের কথা কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। সর্বগুণ সম্পন্ন এই মধুর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, চিকিৎসা মধুর ব্যবহার সবখানেই হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেকের উচিত খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন এক চামচ হলেও মধু রাখা।
মধু কিভাবে খাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ অসুস্থ হচ্ছে
বেশিরভাগ মানুষ মধু ভুল ভাবে খেয়ে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মধু ভুল ভাবে খেয়ে যেই বিষক্রিয়া তৈরি হয়। তার কারণে আপনার দেহের বিভিন্ন জটিল রোগ তো বটেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।কারণ এই বিষক্রিয়া এতটাই ভয়ংকর,
তবুও মানুষ এখন পর্যন্ত ভুল ভাবেই এই মধু খেয়ে যাচ্ছেন। কারণ মধু খেলে অনেক উপকার হয় এই তথ্য এবং গরম পানিতে মধু খেলে অনেক উপকার হয়। এই সকল তথ্য জেনেই মানুষ মধু খেয়ে নিচ্ছেন।
আরও পরুনঃ ত্বক সুন্দর রাখতে কোন ধরনের খাবার খেতে হবে
কিন্তু আসল কি নিয়ম রয়েছে, মধু কখন, কিভাবে, কতটুকু খেলে মধু আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে না। তা অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে। তা না হলে এর পরিণাম অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য অনেকেই মধু গরম পানিতে খাচ্ছেন। বা গ্রিন টি,অন্য কোন খাবার, লাল চায়ের সঙ্গে, মসলা চায়ের সঙ্গে, মধু মিশিয়ে খাচ্ছেন।
আচ্ছা মধুটা যখন আপনারা চায়ে বা গরম খাবার, গরম পানির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তখন কিপানির তাপমাত্রা কখনো খেয়াল করে দেখেছেন। কারণ এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যখন পানির তাপমাত্রা বা গরম উপাদানের সঙ্গে আপনি মধু মেশাবেন। তার তাপমাত্রা ৪২° সেন্ট্রিগ্রেডের উপরে যাবে, তখন মধুর গুণ পরিবর্তন হয়ে বিষাক্ত পদার্থে পরিণত হবে।
কাজেই আপনি মধু কতটুকু গরম উপাদানের সঙ্গে মেশাচ্ছেন তা আপনাকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সকালে আপনি গরম পানিতে মধু খেতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানিতে মধু কখনোই মেশাবেন না।
পানি বা চা দুধ বা যেই কোন খাবারের সঙ্গে আপনি মধু মেশালে সেই খাবার অবশ্যই আপনাকে একটু ঠান্ডা হতে দিতে হবে। এটা সহনীয় মাত্রার অর্থাৎ এটা পান করার ঠিক আগে আগে মধুটা ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অতিরিক্ত গরম পানিতে বা অতিরিক্ত গরম খাবারে এ মধু মেশানোর ভুল কখনোই করবেন না।
অনেকে আছে চিনি বা যে কোনো মিষ্টি উপাদানের সাথে খাবারে মধু মিশিয়ে দেন। আবার সেই খাবার দ্বিতীয়বার গরম করছেন বা খাবার রান্না করতে করতে মধু মিশিয়ে দিচ্ছেন। এই ভুলটি যারা করছেন তারা কিন্তু মধু খেয়ে চরম বিপদে পড়বেন।
অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা মধু জ্বাল করে বিক্রি করে থাকেন। যারা এমনটা করছেন দ্বিতীয়বার এই ভুলটি কখনোই করবেন না। কারণ আপনার এই ভুলের কারণে অনেক মানুষ মধু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মধু গরম করা থেকে আপনাকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
আরও পরুনঃ সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
যদি আপনি দীর্ঘ।দিন ধরে একই কৌটাই বা জারে রেখে খেতে চান তাহলে কখনোই তা প্লাস্টিকের বোতলে থাকা বা প্লাস্টিকের কৌটাই থাকা অবস্থায় খাবেন না।
প্লাস্টিকের কৌটায় দীর্ঘ দিন মধু থাকার ফলে তা বিষাক্ত হয়ে যায়। মধু অবশ্যই আপনাকে কাঁচের কৌটায় সংরক্ষণ করতে হবে। আর মধু খাওয়ার আগে কিনার আগে এই বিষয়গুলো অবশ্যই আপনাদের মাথায় রাগ রাখা উচিত।
মধু কিভাবে খাবেন কিভাবে খেলে মধু খাওয়ার গুনাগুন পাবেন
মধু আপনাকে সবসময় ঠান্ডা অবস্থায় খেতে হবে। যে রুম টেম্পারেজারে আপনি মধু রাখছেন তেমন অবস্থায় খাবেন। কিন্তু ভুলেও কখনো আপনি মধু ফ্রিজে রাখবেন না মধু ফ্রিজে রাখলেও তার গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।
কাজেই নরমাল টেম্পারেজারে রাখুন এবং খান। গরম পানি এবং গরম লেবু পানি, চা, দুধ কোন কিছুর সঙ্গে মধু মেশাতে হলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায় এলে তখনই মেশান। এই টাইম মধু খাওয়ার সঠিক তথ্য।
মধু খেলে কি কি ক্ষতি হয়
অনেকেই ভাবছেন যে এত উপকারের জিনিস আবার ক্ষতি কর কেন।কারণ মধুর ভেতোরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনাদের দেহে ক্ষতি বা উপকার দুটোই করতে পারে।আপনি কিভাবে কখন কতটুকু খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে।
আরও পরুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম
যদি আপনি একজন শিশুকে মধু খাওয়াতে যান। তাহলে অবশ্যই তার বয়স বিবেচনা করতে হবে। দুই বছরের আগে শিশুকে মধু খাওয়ানো ঠিক না।তবুও যদি কেউ খাওয়ান তাহলে এক বছর পেরুতে দিন। এবং এক বছরের পরে ভালো মানের খাঁটি অথবা ভালো গুণ সম্পন্ন রিফাইন করা মধু আপনি এক থেকে দুই ফোটা করে খাওয়াতে পারেন।
তবুও শিশুর শরীরের উপর নির্ভর করে। যদি সেই শিশুর শরীর গরম হয়ে থাকে অর্থাৎ তার বায়ু বা পিত্ত বেশি হয়ে থাকে। তাহলে তাকে মধু পাওয়া নয় ভাল। তেমনি ভাবে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিও মধু খাওয়ার আগে তার বয়স, ওজন, উচ্চতা বিবেচনা করে তবেই খাবেন।
মধু কখন খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন
মধু খাওয়ার আসল নিয়ম হলো সকালে আর রাতে। আপনি যদি সকালে মধু খান তাহলে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সেই গরম পানিরসাথে একটি লেবুর রস যুক্ত করে নিতে পারেন।
আর যদি আপনার ওজন হালকা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কোন ধরনের লেবু না মিশিয়ে শুধুমাত্র মধু মিশেয়ে গরম পানি পান করুন। তবে খেয়াল রাখবেন কখনোই বাসি মুখে বা খালি পেটে এই মধু পান কোরবেন না। এর আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে হালকা গরম পানি পান করে নিবেন তারপরে মধু পানি খাবেন।
আর রাতে খেতে পারেন আপনি এক চামচ শুধু মধু। অথবা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি মধু পান করে ঘুমোতে পারেন। এতে করে আপনার রাতের ঘুম খুব ভালো হবে,কষ্ট কাঠিন্য মধুর হবে।তেমনি আপনি যদি সকালে মধু খান। বিশেষ করে যদি মধু মিশিয়ে খান, তাহলে আপনার দেহের খারাপ কোলেস্টোরেল কমতে থাকবে। হার্ট ভালো থাকবে।
ওজন তো অবশ্যই ধীরে ধীরে কমবে। এবং এটা দীর্ঘমেয়াদি ফল দিবে। মধু আসলে আপনার কষ্ট কঠিন কাঠিন্য দূর করে এবং আপনার গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদ হজমকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।যাদের পেপটিক আলসারের সমস্যা রয়েছে। তারা যদি রাতে ঘুমোনোর আগে বা সকালে এক চামচ করে মধু খান তাহলে দেখবেন যে খুব তাড়া তাড়ি এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
কিন্তু গ্যাস, অ্যাসিডিটি বদহজম, টক ঢেকুর বেশি থাকলে কখনোই লেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে যুক্ত করে খাবেন না। এতে কিন্তু সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। তাই কখন কিভাবে খাচ্ছেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অন্য কোন খাবারের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে চাইলেও আপনার শারীরিক ধরনের উপরে বিচার করবেন যে মধু আপনি কিভাবে খাবেন।
কেউ কেউ আছে যে মধু কিন্তু যখন তখন খেয়ে নিচ্ছেন। এতে কিন্তু গ্যাস অ্যাসিডিটির প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে। কারো যদি মধু খাওয়ার পরে পেট খারাপ হয়ে থাকে। বারবার বাথরুমে যেতে হয় তাহলে কখনোই আপনি মধু খাবেন না। জানবেন মধু আপনার জন্য নয়।
কারণ উপকারী বলেই আপনি যে কোন জিনিস খেতে পারেন না।আপনার শারীরিক ধরনের উপর নির্ভর করবে যে মধু আপনার খাওয়া যাবে কিনা।
মধু খেলে কি কি উপকার হয়
- মধু খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় শরীরের জমে থাকা টক্সিন উপাদান খুব সহজেই বের হয়ে যায়।
- মধু আপনার পেটের যেকোনো গণ্ডগোল কে দূর করতে পারে যদি না মধু খেয়ে আপনার কোন ধরনের ক্ষতি কর বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
- যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা মধু খাবেন মধু w.v.c, r.v.c এবং প্লাটিলেট কে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
- মধু খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে শরীরের ধারের কাছেও কোন ভাইরাস ঘেষতে পারে না।
- মধু শ্বাসতন্ত্রের যেকোনো রোগকে দূর রাখতে পারে।
- মধু হার এবং দাঁতের গঠনে খুব ভালো কাজ করে।
- মধুর তারণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- মধু আপনার যৌন ক্ষমতা কে বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।
- মধুর সঠিক ভাবে খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
- মধু খেলে পানি শূন্যতা দূর হয়ে যায়।
- মধুর দৃষ্টিশক্তিকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
- এছাড়া মধু খেলে রাতের ঘুম অবশ্যই ভালো হয় কারণ প্রশান্তি দায়ক।
- মধু খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে কাজেই আপনি মধু নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
- মধু খেলে আপনার মন ভাল থাকবে অনেকেই মনে করে থাকে যে ডাইবেটিসের রোগীরা কখনোই মধু খেতে পারে না। কিন্তু এই কথাটি সম্পূর্ণ পুরোপুরি সঠিক নয়। যদি মধু ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ এবং খাঁটি হয় তাহলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া সত্বেও আপনি এক চামচ করে প্রতিদিন খেতে পারবেন।
- আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্য এতে করে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু মধুতে যদি ভেজাল থাকে চিনি বা অন্য যেকোনো উপাদান মিশিয়ে মিষ্টি করা হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারি।
খাঁটি মধু চেনার উপায়
সৌন্দর্য চর্চায় রোগ প্রতিরোধ কিংবা ডায়েটের জন্য মধুর সর্বোচ্চ তরে গুনে গুনানিত। বর্তমানে আমরা বাজার থেকে যেই মধু কিনে আনি কতটা খাঁটি তা বলা খুব কঠিন। তবে নকল মধু চেনার সহজ কিছু উপায় অবশ্যই রয়েছে।
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু দিন এর পরে আস্তে আস্তে গ্লাস টি নারা দিন। মধু পানির সাথে মিশে গেলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভেজাল মধু। আর মধু যদি ছোট পিন্ডের মতো গ্লাসের পানিতে ছড়িয়ে যায় তাহলে বুঝবেন এটা খাঁটি মধু।
নকল মধু চেনার আরেকটা সহজ উপায় হল। নকল মধুতে সহজে আগুন ধরে না। কিন্তু খাঁটি মধুতে খুব দ্রুত আগুন ধরে যায়। একটু তুলো মধু দিয়ে ভিজিয়ে ম্যাচ দিয়ে তুলোটিতে আগুন দিয়ে দেখতে পারেন। যদি দ্রুত আগুন না ধরে তাহলে বোঝা যাবে যে মধুটি নকল।
বেশ কিছুদিন ধরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। বয়াম সহ মধু গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দেখুন এই চিনি গোলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।
এক টুকরো ব্রোটিন পেপার নিন তাতে কয়েক ফোটা মধুদিন। যদি কাগজ তার সম্পন্ন শুষে নেয় বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়। এক টুকরো সাদা কাপড়ে মাখিয়ে রেখে আধা ঘন্টা দেখতে পারেন। তারপর পানি দিয়ে ধোয়ার পর যদি দাগ থেকে যায় হলে বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।
আরো কিছু লক্ষণ দেখে বুঝতে পারবেন যে মধু ভেজাল যেমন। মধুতে ফেনা হয়,টকটক বন্ধ হয়,তলানি খসখসে হয়ে যেতে পারে, মধু পাতলা হয় এবং স্তর গুলোকে আলাদা করে বোঝা যায়।
সুন্দরবনের মধু ও পাহাড়ি অঞ্চলের মধুর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
- বনাঞ্চলের আদ্র পরিবেশের কারণে মধু পাতলা হয়।
- আর পাহাড়ি এলাকার শুষ্ক ও ঠান্ডা পরিবেশের জন্য মধু ঘন হয়।
- খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখলে কখনো জমাট বাঁধবে না তরল থাকবে।
- ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাবে।
- স্ফটিকের মত দানা দিতে পারে,এমনকি মধুর উপরের অংশে আদায় স্তরের মতো জমে যেতে পারি যা মূলত চিনি।
- খাঁটি মধুতে তাপ দিলে ক্যারামেেলের মতো হয়ে যাবে।
- ভেজাল মধু ক্যারামেল এর মত ফেটে ফেটে যাবেনা এতে কেবল বুদবুদ উঠবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url