ব্রণ কমান খুব সহজে নিয়মগুলো ফলো করুন
বর্তমান সময়ের সব বয়সের ছেলে মেয়েরাই ব্রণ সমস্যায় ভুগছে। বিশেষ করে ১২থেকে ৩০ বছরের ভেতরে যারা তাদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়।
বিভিন্ন কারণে মুখে ব্রণ হয় যেমন হর মনের অভাবে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, রাতে ঠিকমত ঘুম না হওয়া, ভিটামিনের অভাব, অপরিষ্কার ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক, তৈলাকতো খাবার গ্রহণ ইত্যাদি। আসুন জেনে নেই এই সকল সমস্যার উপায়।
সূচিপত্রঃ ব্রণ কমান খুব সহজে
ব্রণ কমান খুব সহজে
ব্রণ কমান খুব সহজে সামান্য কিছু নিয়ম ফলো করে। সর্বপ্রথম আপনাকে বেশি মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। হঠাৎ করে বেশি পেট ভরে খাবেন না, দুধ ও কলা একসাথে খাবেন না , এটি খেলে পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়া কাজ করতে পারে না ফলে আপনার হজম প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে।
ব্রণ কমাতে ক্রিমের ব্যবহার
ব্রণ একটি খুবই কমন সমস্যা। আমাদের একটি বয়সে দেখা যায় সবারই কমবেশি ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ কিন্তু আমাদের যেকোনো বয়সেই হতে পারে। আমাদের ধারণা ব্রণ শুধু টিনএজেই হয় এটা কিন্তু ভুল। ব্রণ সব বয়সের মানুষের হতে পারে। এমনকি সদ্যোজাত একটি শিশুর ও ব্রণ হতে পারে।
তবে ব্রণ কিন্তু ২০ থেকে ৩৫ বছরে বেশি দেখা যায়। কারন আমাদের শরীরের যে স্কিন তার নিচে যে সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ড থাকে সেটার কাজ হল সেবাস নিঃসরণ করা। সেটি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সেবাস নিঃসরণ করে। যেটার মধ্যে মেনলি থাকে ড্রাইগ্লিসারই। যেটা হেয়ার ফলিকলের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্কিনের অপরিভাগের উপরে একটি আস্তরণ তৈরি করে।
কিন্তু টিনএজে হয় যেটা ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্ট টেস্টেরল এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে এন্ড্রোজেন নামক একটি হরমোন নিঃসরণের কারণে সেটি হঠাৎ করে সিবাশেস গ্ল্যান্ড কে অনেক বেশি পরিমাণ টিম লেসন দেয়। শিবাম নিঃসরণ কারার জন্য তখন হয় কি অনেক বেশি বেশি সেবাম নিঃসরণ হতে থাকে।
এবং উপরিভাগে এসে জমা হয় এবং এক সময় দেখা যায় যে এই হেয়ার ফলিকলের মুখ যেটা থাকে সেটা বন্ধ হয়ে যায় এবং আমাদের স্কিনে নরমাল যে ব্যাকটেরিয়া থাকে প্রপারলি ব্যাকটেরিয়াম একনি সেটা ওখানে গিয়ে ক্রোনাইজেশন করে। আল্টিমেটলি ব্রণের তৈরি করে। ব্রণ হলে আমরা মনে করি কি খাব কি খাব না অনেক সময় আমরা মনে করি তেল যুক্ত খাবার খেলে আমাদের ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আসলে ব্যাপারটা তা না ব্রণ দেখা যায় বেশি বেশি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেলে। আমাদের ব্রণের সমস্যা বেশি বেড়ে যায় যেমন রিফাইন সুগার বা অনেক বেশি ভাত খাওয়া বা বাইরে যে স্পাইসি খাবার, এ খাবারগুলো খেলে ব্রণের সমস্যা বেশি বেড়ে যায়। এছাড়া কফি, চকলেট, পানি খাওয়ার অভ্যাস কম থাকলে সমস্যাটা বেশি হয়। আবার ঘুম কম হওয়া, অনেক রাত অব্দি জেগে মোবাইল দেখলে আমাদের ব্রণের সমস্যাটা বেড়ে যায়।
আমরা ব্রণ হলে কি করি
আসলে ব্রনের যে চিকিৎসা সেটা ডিসাইড করা হয় ব্রণের প্রকারভেদ অনুযায়ী। সবার ব্রণ কিন্তু এক ধরনের না। ব্রণ এক একজনের দেখা যায় মাইল্ড মডারেড বা সিভিআর। এভাবে আমরা ক্যাটাগোরিজেশন করি। দেখা যাচ্ছে যে খুব পেপিউল বা কমিডন টাইপের ব্রণ হয় তাদের ক্ষেত্রে ট্রপিকাল ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন।
ট্রপিকাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে হচ্ছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বেঞ্জাল পার অক্সাইড বা রেজিনার টাইপের ক্রিম পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই ব্রণের সমস্যাটা অনেক বেশি পরিমাণে হয় অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে ব্রণগুলো অনেক বেশি বড় হয় এগুলো থেকে এগুলো থেকে অনেক বেশি পাস বের হয়।
এবং অনেক সময় দেখা যায় ব্রণগুলো গর্ত বা ইস্কারব ফেলে দেয়। সেগুলোকে বলে সি বি আর একনি বা নুডুলোসিসটিক একনি।সেগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু মুখে খাবার ট্যাবলেট খেতে হয়। তো প্রকারভেদ অনুযায়ী ব্রণের ট্রিটমেন্টগুলো কিন্তু আলাদা। এসথেটিক ট্রিটমেন্ট যেটা করা হয় সেটা হলো কেমিক্যাল পিলিংক।কেমিকাল পিলিংক কিন্তু উন্নত মানের ব্রণের চিকিৎসা।
সেখানে অনেক ধরনের কেমিক্যাল পিলিংক ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেক্টিক পিল,গ্লাইকোলিক বা মেন্ডেলিক, অনেক সময় জেছথারছল ও ব্যবহার করা হয়।এগুলো অনেক এডভান্স ট্রিটমেন্ট। এগুলো হচ্ছে ক্লিনিক সেটাপ ট্রিটমেন্ট।
ব্রণ দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
ঔষধি গুণে ভরপুর ঔষধি গাছ নিমগাছ। এর পাতা থেকে বাকল শিকড় থেকে ফুল ফল থেকে বীজ সবকিছুই অত্যাবশ্বিকভাবে কাজে লাগে। গুণে ভরপুর এ নিমগাছ। নিম গাছের পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ব্রণ কমান খুব সহজে এই নিম পাতার বাবহারে।
এছাড়াও প্রকৃতিতে নিমগাছ প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিম গাছকে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে ঘোষণা করেছে। ত্বক ভালো রাখতে ব্যবহার করুন নিমপাতা। নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। ব্রণের সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করুন নিমপাতা। নিমের মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ব্রণের সমস্যা কমায় ত্বকের চুলকানিও কমাতে সাহায্য করে।
আরও পরুনঃ কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম
নিমের এন্টি ইন ফরমেটরি বৈশিষ্ট্য। নিমের মধ্যে ভিটামিন ই ও এন টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ত্বককে সুন্দর রাখে। নিম পাতার গুণে ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করা যায়। যাদের ব্রণ আছে এবং ব্রণ হয়ে গেছে ব্রণের দাগ রয়ে গেছে তাদের জন্য এ নিমপাতা অনেক ভালো কাজ করবে। এবং যাদের ব্রণ প্রায় হয় সেন্সিটিভ স্কিন প্রায় ব্রণ আসে তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে এই নিম পাতা।
এই নিমপাতা বেটে ফেসে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত শুকিয়ে তারপর সেটা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর দেখা যাবে যে অনেক ভালো কাজ করছে। এটা সপ্তাহে তিন দিন করলে এটা থেকে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। যাদের ব্রণ আছে বা ব্রণের দাগ আছে তাদের এ নিমপাতা বাটা ব্যবহার করলে তাদের খুবই ভালো কাজ করবে এবং স্কিন টাও দিন দিন উজ্জ্বল হবে।
ত্বকে বনের কালচে দাগ গুলো ধীরে ধীরে রিমুভ হয়ে যাবে এই নিমপাতা বাটা ব্যবহার করলে। মুখে একটি ব্রণ হলে আমরা সেটাকে খুঁটিয়ে আরো দুই তিনটা ব্রণ বানিয়ে ফেলি। অথচ হাতের কাছেই রয়েছে ঔষধি গুনে ভরপুর নিম পাতা।ব্রণ কমান খুব সহজে সেই নিম পাতা বেটে যদি ব্রণ আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করি তাহলে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারি। তাই ব্রণ কমাতে নিম পাতার ব্যবহার করলে ব্রণ ধীরে ধীরে রিমুভ হয়ে যাবে।
ব্রণ কমাতে লেবুর ব্যবহার
ব্রণ মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। সাধারণত কিশোর বয়সে ব্রণ বেশি হয়। যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের ব্রণ দেখা দেয়।মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ব্রণ হতে পারে। লেবুর রস দিয়ে খুব সহজেই এই ব্রণ দূর করা যায়। তবে লেবুর রসের সঙ্গে কোন প্রাকৃতিক উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ, ছোপ, ও কালচে ভাব খুব সহজেই দূর করা যায়।
সামান্য একটু লেবুর রস হাতে নিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে যেখানে ব্রণ আছে সে জায়গাগুলোতে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেললেই ব্রণের দাগ কমতে থাকবে।
লেবুর রস ও মধু, লেবুর রসের সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে তা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেললেই এ প্যাক মুখের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে। এছাড়া ব্রণের কালচে দাগ গুলো দূর হয়ে যাবে।
লেবুর রস ও কমলার রস, সমান পরিমাণ লেবুর রস ও কমলার রস একসাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক মুখের ব্রণ দূর করার সঙ্গে সঙ্গে মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলবে। লেবুর রস ও কমলার রসের এ ব্যবহারটা ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।
দুধ ও লেবুর রস, সামান্য পরিমাণে দুধ ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তা ব্রণ এর ওপরে ব্যবহার করলে বা লাগিয়ে রাখলে বিশেষ করে যে জায়গা গুলোতে ব্রণ আছে সেই জায়গাগুলোতে বেশি করে লাগিয়ে 15 মিনিট পরে পানি দিয়ে মুখ এভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এ প্যাক মুখের ব্রণ দূর করার সঙ্গে সঙ্গে মুখের কালচে ভাব দূর করবে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
লেবুর রস ও শসার রস,সমমান পরিমাণ লেবুর রস ও শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট পর৷ মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এই ব্যাগটি নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ ব্রনের দাগ খুব সহজে কমতে থাকবে। এছাড়া মুখের দাগ দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক নরম ও মসৃণ করবে। লেবুর এ রেমিডিগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ব্রণের দাগ গুলো নিমিষে কমতে থাকবে।
ব্রণ কমাতে ফেসওয়াশ এর ব্যবহার
pimple এবং একনি ফেসওয়াশ চেনার উপায়। আমাদের বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখা যায় তাহলে আমরা দেখতে পারবো বাংলাদেশে অনেক কসমেটিক ব্র্যান্ড আছে। সবগুলো কসমেটিক ব্র্যান্ড যে ভালো প্রোডাক্ট ঠিক তানা। আবার সবগুলো কসমেটিক ব্র্যান্ড আমাদের খারাপ প্রোডাক্ট দেয় ঠিক তা না। কোন ব্র্যান্ড আপনাকে ভালো প্রোডাক্ট দিচ্ছে কোন ব্র্যান্ড আপনাকে খারাপ প্রোডাক্ট দিচ্ছে সেটা আপনাকে বুঝেশুনে দেখে যাচাই করে নিতে হবে।
পিমপল এবং একনি এর জন্য সঠিক ফেসওয়াশ নির্বাচন করার উপায় :
আপনি যখন একটি ভাল ফেসওয়াশ পছন্দ করতে যাবেন তখন জানতে হবে কোন কোন উপকরণ দিয়ে ফেসওয়াশ তৈরি হয়েছে সেটি আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি আপনি দেখেন ফেসওয়াশটির উপকরণ এর মধ্যে এস এল এ মানে সোডিয়াম লরেল সালফেট এই উপকরণগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তাহলে আপনি বা আপনারা ব্যবহার করবেন না কেননা সোডিয়াম লোরেল সালফেট এন্ড পেরা ডিওন আমাদের স্কিনকে ড্যামেজ করে দেয়।
খেয়াল রাখতে হবে আপনার ফেসওয়াশের উপকরণের লিস্টে যাতে ছিলি সিলিক অ্যাসিড থাকে। কারণ ছিলি সিলিক এসিড আমাদের পিম্পল এবং একনি এর সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। তাই এই দুটি বিষয় খেয়াল রেখে যদি আপনি আপনারা ফেসওয়াশ পার্সেস করতে পারেন।
তাহলে দেখবেন pimple এবং একনি এর সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে। এমন অনেক প্রোডাক্ট আছে তাদের প্রোডাক্টে কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে তা উল্লেখ করা থাকে না তাই আমরা বুঝতে পারি না প্রোডাক্ট কটি ভালো নাকি খারাপ। তাই এ প্রোডাক্টগুলো থেকে সব সময় দূরে সরে থাকবেন।
টিনেজার ছেলে ও মেয়েদের জন্য বেস্ট ফেসওয়াশ
এই পাঁচটি ফেসওয়াশ যেগুলো স্পেশালি তৈরি করা হয়েছে টিনেজার দের জন্য। কিন্তু এই ফেসওয়াশগুলো সব বয়সী ছেলে-মেয়ে সবাই ব্যবহার করতে পারবে। টিনেজারদের জন্য স্পেশালি তৈরি করা হয়েছে কারণ টিনেজারদের স্কিন অনেক সেনসিটিভ হয়ে থাকে। এবং ব্রণ বেশি হওয়া শুরু করে। দেখবেন ১২ থেকে ১৩ বছরে বয়সন্ধিটা শুরু হয়। তখন ব্রণ বেশি হওয়া শুরু করে।সেই চিন্তা করে এ ফেসওয়াশগুলো তৈরি করা হয়েছে। কারণ এই ফেসওয়াশগুলো ব্যবহার করলে পিম্পল এবং ব্রণের সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে। এবং স্কিনের কোন সমস্যা হবে না।
Mamaearth tea tree face wash
এই ফেসওয়াশে আছে নিম এবং এটি ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট। এ ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করলে আপনার স্কিনের কোন ক্ষতি হবে না। আপনার ব্রণের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে। এখানে বলাই হয়েছে যে for acne and pimple খুব সহজেই দূর করে দেয়। স্কিনের কোন ক্ষতি করে না আরো ইসমুত এবং হেলদি করে তোলে। তাই এই ফেসওয়াস টি অনেক ভালো কাজও। ব্রণ কমান খুব সহজে এই ফেছওয়াশ টি ব্যবহার কোরে।
Simple refreshing facial wash
এই ফেসওয়াসটি আরো ভালো কাজ করে। কারণ এই ফেসওয়াস টি তে কোন আর্টিফিশিয়াল কালার ব্যবহার করা হয়নি। এবং এই ফেসওয়াস টি একটি জেল বেস ফেসওয়াশ। এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করলেই স্ক্রিন হেলদি হবে স্মুথ হবে।
স্কিনের ডার্কনেস আছে, ময়লা আছে, ব্যাকটেরিয়া গুলো আছে এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে যে স্পোশ থাকে ছোট ছোট যে ছিদ্র থাকে মুখে সেগুলোকে একদম টেনে বের করে ফেলে এবং এটার উপকার হচ্ছে এ ফেসওয়াশটা যখন ব্যবহার করা হবে নরমালি দেখা যায় ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে টানটান ফেস রুক্ষ ভাব হয়। ব্রণ কমান খুব সহজে এই simple ব্যান্ডের ফেসওয়াস টি ব্যবহার করে সকল সমস্যার দূর হয়ে যাবে।
Clean and clear face wash
এটা ওয়ালি কন্ট্রোল করে। দেখা যাচ্ছে যাদের অয়েলি স্কিন তাদেরই মুখে দেখা যাচ্ছে বেশি বেশি পরিমাণে পিম্পলটা হয় বা ব্রণটা হয়। এই ব্রণ টার জন্য অয়েলটা কন্ট্রোল করা অবশ্যই দরকার। এই ফেসওয়াশ টা এদিক দিয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে টিনেজারদের জন্য অনেক ভালো। জনসেন এন্ড জনসনের জন্য এটি খুবই ভালো। এটি একটি ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট।
বাজেটের দিক থেকে অনেক সাশ্রই এবং স্কিনের কোন ক্ষতি করে না। এবং স্কিনের যে পিগমেন্টেশন আছে সেই পিগমেন্টেশন থাকবে না। অয়েল কন্ট্রোল করবে। ব্রণের জন্য যে ব্যাকটেরিয়া গুলো থাকে সেই ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলবে। যার কারনে আপনার স্কিনে কোন ব্রণ থাকবেনা। ব্রণগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে।
Acne clear
এটা অনেক ভালো একটা ফেসওয়াশ। এটা অয়েল কন্ট্রোল করবে আপনার স্কিনে যদি ব্রণ থাকে আর ব্রণের দাগগুলো থাকে সে দাগগুলোকে দূর করতে সাহায্য করবে। মানে টোটালি এই ফেসওয়াস টি ব্রণের জন্য। যারা ব্যবহার করবেন এই ফেসওয়াস টি তারা অনেক ভালো ফল পাবে।
কারণ খুব সুন্দর করে এই একনিগুলোকে এ ব্রণ গুলোকে দূর করতে সাহায্য করে এই একনি ক্লিয়ার ফেসওয়াস টা। এটি একটি থাইল্যান্ডের প্রোডাক্ট। আগে যে ব্রণ ছিল ব্রণের দাগ ছিল এমনকি নতুন করে কোন ব্রণের দাগ হতে দেবে না, এই ফেসওয়াস টি। এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে এই এক্নি নিক্লেয়ার ফেসওয়াস টি।
Himalaya purifying neem face wash
এই ফেসওয়াশ টি পিম্পল ব্রণের জন্য খুবই ভালো একটি প্রোডাক্ট। কিন্তু এটার একটি সমস্যা রয়েছে যাদের পিম্পল নেই ব্রণ নেই এক্টনি নেই তাদের আবার এই ফেসওয়াস টি ব্যবহার করলে ব্রণ হয়। ব্রণ না হলেও হালকা পিম্পল দেখা দেয়।
তাই আপনারা দেখে নেবেন যদি আপনাদের ব্রণের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ব্যবহার করবেন না। ব্রণের সমস্যা থাকলে ব্যবহার করবেন। স্কিনের জন্য যেহেতু সেহেতু চিন্তা ভাবনা করে ভালো প্রোডাক্ট কিনতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে তাই আপনাদের স্কিনের জন্য কোনটা ভালো ফেসওয়াশ সেটা চিন্তাভাবনা করে আপনারা ব্যবহার করবেন।
ব্রণ কমাতে কাঁচা হলুদের ব্যবহার
ব্রণের সমস্যা নিয়ে অনেকে চিন্তিত থাকেন। তাই কিভাবে ঘরে বসে ঘরোয়া উপকরণে এই সমস্যার সমাধান হবে তা জানাবো। উজ্জ্বল দাগহীন কোমল মসৃণ ত্বক পাবেন তার সম্পর্কে। কাঁচা হলুদ রূপচর্চার অন্যতম উপাদান হিসেবে অনেক আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে এই কথাগুলো আমরা জানি।কাঁচা হলুদের আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান। তাই কাঁচা হলুদ ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।
আবার অন্যদিকে হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ও কাজ করে। তাই ব্রণ দূর করতে তাতেও কাঁচা হলুদ অতুলনীয়। ব্রণ সরাতে হলুদের মত চমৎকার প্রাকৃতিক উপাদান খুব কমই আছে। ব্রণের ইনফেকশন কমানো থেকে শুরু করে ব্রণের দাগ দূর করতেও হলুদের অনেক রকম ব্যবহার আছে।। যাদের প্রচুর ব্রণ উঠে তাদের জন্য কাঁচা হলুদ জাদুর মত কাজ করে।
- ব্রণের সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে কাঁচা হলুদ বাটা, আঙ্গুরের রস, গোলাপজল মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর হয়ে যাবে এবং ইনফেকশন হবে না।
- এছাড়াও কাঁচা হলুদ বেটে রসটা বের করে তাতে মুলতানি মাটি নিম পাতার রস একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে প্যাক বানিয়ে তা মুখে লাগান শুকিয়ে গেলে গোলাপ জল দিয়ে আলতো হাতে মেসেজ করে নিন। এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন ব্যবহার করুন ব্রণ ধীরে ধীরে কমে যাবে ত্বক ও উজ্জ্বল হবে।
- তক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী। তাই কাঁচা হলুদ বাটার সাথে বেসন, চালের গুড়া, ও টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা মেসেজ করে প্যাকটি তুলে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হবে।
- কাঁচা হলুদ ও শুকনো কমলার খোসা একত্রে বেটে কাভার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকে নিয়ে আসবে এক অন্যরকম সৌন্দর্য।
- বলি রেখা, দাগ, ব্রণ, মুখের কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে দুধের সর মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। নিয়মিত এই ব্যক্তির মুখে লাগালে এইসব সমস্যা দূর করবে।
- মনে রাখবেন হলুদ দিয়ে কখনোই রোদে যাবেন না। এতে ত্বক পড়ে যাবে, এমনকি ত্বক কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে সেজন্য কাঁচা হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনোই দিনের বেলা নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url