কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম

পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল কলা। কলার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। কাঁচা কিংবা পাকা সবরকম কলার ই রয়েছে বেশ চাহিদা। সবজি হিসেবে কাঁচা কলার রয়েছে বেশ চাহিদা। আর ছেলে বুড়ো সবাই খেতে পছন্দ করে পাকা কলা। 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা-করার-নিয়ম

কলা খাবার শেষে কলার খোসাটাও কিন্তু ফেলনা নয়।আর আপনি ঘরে বসে এই উচ্ছিষ্ট কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন। এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন। 

সূচিপত্র ঃ  কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায় খুব সহজেই।প্রকৃতিতে  ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল প্রকারের প্রাকৃতিক  উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করাই উত্তম। সবথেকে সহজ ভাবে সরাসরি কলার খোসা ফেসে  ঘোষতে পারেন। তবে এটা অনেক সময় নিয়ে তোকে ঘুষতে হবে।

তাহলে আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর হবে,শুষকো ও রুক্ষ ত্বক মসৃণ হবে। তাছাড়া বিশেষ করে শীতের সময় যাদের পা ফাটার সমস্যা রয়েছে তারা বিশেষ ফল পেতে পারেন এই কলার খোসা ব্যবহারের মাধ্যমে। 

কলার খোসার পুষ্টিগুণ 

কলার খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট। ভিটামিন এ, ভিটামিন b6, ভিটামিন বি ১২,ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং জিংক এর মত উপাদান। পাকা কলায় যে সকল ভিটামিন পাওয়া যায় কলার খোসাই একই  ভিটামিন মিলে। 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা-করার-নিয়ম

তবে কলার খোশায় অতিরিক্ত দ্রবনীয় এবং অধ্রবণীয় আশ পাওয়া যায়। এছাড়া কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল। আর গলার খোসার আন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি  কমাতে সাহায্য করে। 

কাঁচা কলার খোসার উপকারিতা 

শুধু পাকা কলার খোসাতে নয় কাঁচা কলার খোসাতে রয়েছে অনেক ভিটামিন। কাঁচা কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ দ্রবণীয় এবং দ্রবণীয় আশ। এই আশ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে। 

কাঁচা কলার খোসা ফেলে না দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে সেদ্ধ করে, একটু রসুন ভেজে অল্প একটু  কালজিরা দিয়ে পেয়াজ মরিচ সহকারে পাটাই কিসে হালকা সরিষার তেল দিয়ে দিলেই হয়ে গেল মুখরোচর ভর্তা। এই ভর্তা মায়ের বুকের দুধ ও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 

কলার খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার পাশাপাশি দাঁতও পরিষ্কার করা যায়। দাঁতের হলুদ  ভাব দূর করে আরো উজ্জ্বল ঝকঝকে করা যায়। এইজন্যে প্রথমে আপনাকে কলার খোসার ছোট ছোট টুকরা করে হাতে নিয়ে দাঁতের উপরিভাগে ঘষতে হবে। 

আরও পড়ুনঃব্রণ কমান খুব সহজে নিয়মগুলো  ফলো করুন  

খোসার ভেতরের নরম অংশ দিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট কমপক্ষে। এরপর প্রতিদিনের মতো পেস্ট দিয়ে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এইভাবে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের হলদে ভাব  দূর হবে চিরতরে। এবং দাঁত হবে ঝকঝকে উজ্জ্বল। 

কলার খোসা দিয়ে ফেসপ্যাক 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চায় এই কলার খোসা থেকে তৈরি ফেসপ্যাক এর জুড়ি নেই। এই ফেসপ্যাকটি আপনি ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন নিমেষে। এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি সাগর কলার খোসা,এক চামচ মধু, এবং এক চামচ টক দই,আর যদি ঘরে টক দই না থাকে তাহলে মিষ্টি দই হলেও চলবে। 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চা-করার-নিয়ম

এই তিনটি উপাদান একসাথে ব্লেন্ডারে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে। তাহলে তৈরি হয়ে গেল ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক টি মুখে গলায় এবং ঘাড়ে প্রলেপ দিয়ে  কমপক্ষে 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে যাতে মিশ্রণটি ভালোভাবে শুকিয়ে যাই। তারপর সাবান কিংবা ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

চোখের নিচের বলিরেখা দূর করতে 

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করে আপনার চোখের নিচের বলিরেখা দূর করতে পারেন খুব সহজে। এর জন্য আপনাকে পাকা কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।তারপর কলার খোসার উপরে নরম অংশে লাগিয়ে নিতে হবে কয়েক ফোঁটা মধু। ব্যাস হয়ে গেল এইবার চোখের নিচে ঘষতে থাকুন কিছু সময়। 

শুধু চোখের নিচের বলিরেখাতেই নয় আরো যেখানে কালচে কিংবা লালচে ছুপ পড়ে গেছে সেখানেও ঘষতে থাকুন। আর যাদের মধুতে এলার্জি রয়েছে তারা মধুর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কয়েক ফোটা গ্লিসারিন। ত্বকে ঘষার  পর কিছুক্ষণ রেখে  হালকা শুকিয়ে গেলে সাবান কিংবা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মশ্চারাইজিং যুক্ত ক্রিম তাকে ব্যবহার করুন। 

শেষ কথা 

পরিশেষে বলতে চাই সব জিনিস ফেলে দিতে নেই। ব্যবহারের পর পরিত্যক্ত জিনিসগুলো দিয়েও তৈরি করতে পারেন দারুন সব রেমিডি।তাই কলা খাবার পর কলার খোসাটি ফেলে না দিয়ে রেখে দিন।  এই পরিত্যক্ত কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করতে পারেন খুব সহজে। 

আশা করি কনটেন্টটি আপনাদের কাজে আসবে এবং এটার থেকে উপকৃত হবেন। উক্ত কনটেন্ট সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে মেসেজ করবেন আমরা চেষ্টা করব  যত দ্রুত সম্ভব আপনার মেসেজের উত্তর দিতে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url