সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
মানব শরীরে যে সকল অঙ্গ পতঙ্গ রয়েছে তার ভেতর সবচাইতে ত্বক হচ্ছে সেনসিটিভ। ত্বক মানুষের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ। এই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন আমাদের করতে হবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে কিভাবে করবেন ত্বকের যত্ন। এই আলোচ্য বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। যদি সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করি আপনার উপকারে আসবে।
সুছিপত্রঃসৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
মুখের যত্নে কি কি করতে পারেন আপনি
কোন ধরনের স্কিনে আমরা কি ধরনের কেয়ার করব
কোন ধরনের স্ক্রিনে কোন ধরনের সিরাম ব্যবহার করতে পারি
সৌন্দর্য ধরে রাখতে সানব্লক এর ব্যবহার
সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
আমাদের দেশে কেন জানি সুন্দর বলতে আমরা বুঝি ফর্সা একটা স্কিন।একটা ফর্সা স্কিনকে কিন্তু আমরা সুন্দর বলতে পারি না। একটা ফর্সা স্কিনে কিন্তু অনেক ধরনের প্রবলেম থাকতে পারে।আমরা সুন্দর বলতে সেই স্কিনকে বুঝি, যেই স্কিনটা কিনা প্রবলেম ফ্রি বা লেয়ার প্রবলেম ফ্রী।
ছোট ছোট প্রবলেম তো সব স্কিনেই থাকে। একটা সুন্দর স্কিন বলতে ননপিগমেন্টেড এবং ফ্রেশ স্কিনকে বুঝি। সেটা ফর্সা হতে পারে ও কালো হতে পারে আবার শ্যামলাও হতে পারে। এমন কি কাল চেহারার একজন মানুষও সুন্দর হতে পারে। ফর্সা মানে যে শুধু সুন্দর এই ধারণাটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
মুখের যত্নে কি কি করতে পারেন আপনি
মুখ কিন্তু আমাদের সবার খুব পছন্দের একটা অঙ্গ, সেই অঙ্গ টার ক্ষেত্রে একটা কথা আছে। আগে দর্শনধারী তারপরে গুণবিচারী। আপনাকে দেখতে যদি ভালোই না লাগে, ভালোলাগা বলতে শুধু ফর্সা স্কিনকে বোঝাই না। একটা ভালো স্কিন পেতে হলে কি কি করতে হয়, যে যত্নগুলো নিতে হয়।এই স্থানে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।
স্কিনের ধরন কত ধরনের হয়
বিভিন্ন ধরনের স্কিনের ধরন আছে যেমন, তৈলাক্ত স্কিন, শুষ্ক স্ক্রীন এবং কম্বিনেশন বা যেটাকে তৈলাক্ত বা শুষ্ক দুটোর কম্বিনেশন থাকে।কিভাবে বুঝবেন আপনার স্কিনের ধরনটা কেমন, যদি ছোট করে বলতে যাই। বাসায় যদি আমরা এনালাইসিস করতে যাই। যে আমার স্কিনটা কেমন সেটা কিভাবে করতে পারি।
যেকোনো একটা ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে ফেসটা ক্লিন করবেন। ক্লিন করার পর সেটাকে টাওয়াল ড্রাই করবেন।এবং আধা ঘন্টার মতো ওয়েট করেন কোন কিছু অ্যাপলাই করবেন না। আধা ঘন্টা পর যদি আপনি দেখেন,আপনার স্কিন টার টানটান মনে হচ্ছে। স্কিন টা অনেক ড্রাই মনে হচ্ছে একটু ফাটা ফাটা দাগের মত পড়েছে। তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্কিনটা শুষ্ক।
যদি দেখেন নাকের এরিয়াতে ছোট ছোট কোন যেটাকে আমরা বলি টিউজেন।এই সব ছোট ছোট কোন একটা জায়গাতে একটু অয়েল প্রোডাকশন হয়েছে বা একটু তৈলাক্ত ভাব হয়েছে।বাকি অংশটা ড্রাই বা শুষ্ক, তাহলে আমরা এটাকে বলব কম্বিনেশন স্কিন। আর যদি দেখেন কিছু অ্যাপলাই না করে স্কিনে একটা তৈলাক্ত ভাব চলে এসেছে তাহলে বুঝতে হবে এটা তৈলাক্ত স্কিন।
কোন ধরনের স্কিনে আমরা কি ধরনের কেয়ার করব
সকালের কেয়ার
সকালের কেয়ার টা হতে পারে, প্রথমে আপনি ফেসওয়াশ দিয়ে ফেসটা ওয়াশ করবেন। তারপর কোন এন্টি অক্সিডেন্ট সিরাম আপনারা ব্যবহার করবাবহাযদি স্কিন ড্রাই থাকে এইটার ওপরে মশ্চারাইজার অ্যাপলাই করবেন। এরপরে সানব্লক দিয়ে এটাকে টপাপ করে দিবেন। এটা আমাদের সকালের কেয়ার হতে পারে।
রাতের কেয়ার
রাতের কেয়ার যেটা হতে পারে। একটা ভালো মানের ফেসওয়াস দিয়ে ফেসটাকে ক্লিন করে নিতে হবে। তারপর হাইড্রেটিং কোন সিরাম আমরা ইউজ করতে পারি, অথবা ত্বকের ধরন বুঝে বিভিন্ন ধরনের সিরাম আছে সেইগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
কোন একটা সিরাম অ্যাপলাই করে করে উপরে একটা মশ্চারাইজার এপ্লাই করবেন। তারপর আই এরিয়াতে আইক্রীম এপ্লাই করবেন, তারপর শুয়ে পড়বেন। এটাই আমাদের রাতের একটা কেয়ার হতে পারে।
কোন ধরনের স্ক্রিনে কোন ধরনের সিরাম ব্যবহার করতে পারি
- যদি আপনার স্কিন একনি পর্ণ হয়ে থাকে । সে ক্ষেত্রে আপনি সেলি সেলিক salicylic seru সিরাম ইউজ করতে পারেন। এই সিরাম টা আমাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে প্রত্যেকদিন নয়।
- যদি আপনার স্কিন তৈলাক্ত হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনি রেটিনোল সিরাম retinol serum ইউজ করতে পারেন।
- বা যদি একনি স্কার্ফ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে ও আমরা রেটিনোল সিরাম retinol serum ইউজ করতে পারি।
- কিন্তু রেটিনোল সিরাম আমাদের ইউজ করতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন প্রত্যেক দিন কিন্তু ব্যবহার করা যাবে না।
- যদি স্কিনড্রাই থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা হাইলুরুনিক এসিড hyaluronic acid serum কনটেন্ট করে। এরকম কোন সিরাম ইউজ করবেন।এবং মাথায় রাখতে হবে যে, ড্রাই স্কিনে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এজিং সাইন চলে আসে বা রিংকেল বোঝা যায়।
- সে ক্ষেত্রে আপনারা পেপটেড সিরাম peptide serum সাথে রাখতে পারেন। তাই ড্রাই স্কিনের ক্ষেত্রে আপনারা যেটা করতে পারেন। একটা হাইলুরুনিক কনটেন্ট করে, এরকম সিরাম আর একটা পেপটেড শ্রীরাম।
বয়স ত্রিশের পর ত্বকের যত্ন
যারা ৩০ পার করে ফেলেছেন, সেই ক্ষেত্রে আপনারা করতে পারেন। যেহেতু রিংকেল চলে আসে বা এজিং সাইনটা তখন থেকে পড়া শুরু করে। সে ক্ষেত্রে আপনারা পেপটেড সিরামটা এড করতে পারেন। এছাড়াও ব্রাইটেনিংএর কথা যদি আমরা চিন্তা করি।
তাহলে এ্যালপাহরবেটিন alpha arbutin সিরাম এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম antioxidant serum এই টাইপের সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম এর মধ্যে সবথেকে ভালো হচ্ছে, ভাইটামিন সি এ সিরাম।
আরও পরুনঃব্রণ কমান খুব সহজে নিয়মগুলো ফলো করুন
এছাড়া যদি পিগমেন্টের প্রবলেম থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আমরা দেখি মেস্তা বা পিগমেন্টেশন হয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা নায়াসিনেমাইড niacinamide serum সিরামটা সকালে এবং রাতে ইউজ করতে পারি।
এখানে আপনার স্কিনের ধরন যেটা।আগে একটা বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলতে হবে। আপনাকে একটা রুটিন করে দিবে, সেটা আপনি ফলো করতে পারেন। সুপার ফেসিয়ালি কোন কথা শুনে আপনার স্কিন টাইপ জাজ করে। যেকোনো প্রডাক্ট ইউজ করাটা উচিত হবে না।
প্রথমে বলা হয়েছে আমাদের সকালে একটা সানব্লক ইউজ করতে হবে সকালে একটা সানব্লক ইউজ করতে হয়। স্কিন কেয়ারে সব থেকে ইম্পটেন্ট যেই জিনিসটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
সৌন্দর্য ধরে রাখতে সানব্লক এর ব্যবহার
ম্যান্ডেটরি একটা উপাদান থাকে স্কিন কেয়ারে সেটা হচ্ছে সানব্লক। সানব্লক আমরা কোনভাবেই এভোয়েড করতে পারব না। সানব্লক একটা আমাদের অবশ্যই অ্যাপলাই করতে হবে। এবং সান-ব্লক অ্যাপলায়ের নিয়মটা হচ্ছে ,
যদি আমরা ঘরে থাকি তাহলেও অ্যাপলাই করতে হবে।অনেকেই ভাবেন যে ঘরে থাকছি বাইরে যাচ্ছি না, আমার সানব্লক লাগবে না। সানব্লক কিন্তু অবশ্যই দরকার। আপনি ঘরে থাকলেও সানব্লক অ্যাপলাই করতে হবে। আপনি বাইরে থাকলেও সানব্লক অ্যাপলাই করতে হবে।
এবং সব থেকে ইম্পরট্যান্ট উপাদান স্কিন কেয়ারের এর যেটা,সেটা হচ্ছে সিরাম।সিরামটা সবথেকে কোয়ালিটি ফুল এবং ভালো হতে হবে। সৌন্দর্য ধরে রাখতে সানব্লক ব্যবহার করাটা আমাদের দরকার।
ময়েশ্চারাইজার নিয়ে কোন সমস্যা নাই, ফাস্টেরাইজার আপনি চাইলে একটু কম দামি বা একটু চিপ রেটের আপনি যেকোনো কোনমশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সিরামটা অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url